
HSC 2021 Islamic History Assignment Answer
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, এইচএসসি ২০২১ পরীক্ষার্থী যারা আছো তাদের ১৫ সপ্তাহের ৩০ টি এসাইনমেন্ট এর ১ম এসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে।আজকের এই পোস্টে আমরা (HSC 2021 Islamic History Assignment Answer) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্রের এইচএসসি ২০২১ এর ১ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট সমাধান নিয়ে এসেছি। এখানে আমরা নমুনা প্রশ্ন তৈরি করেছি। তোমরা তোমাদের মত করে সাজিয়ে কিছু এড করে বাদ দিয়ে এসাইনমেন্ট টি করতে পারো। তবে আমরা এখানে ১০০% সঠিক উওর টি লিখেছি।
শ্রেনীঃ এইচএসসি ২০২১
বিষয়ঃ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র
এসাইনমেন্ট নংঃ ০১
শিরোনাম: প্রাক-ইসলামি আরব
Table of Contents
নির্ধারিত কাজঃ

এসাইনমেন্ট কভার বোর্ড প্রদত্ত
নমুনা উত্তরপত্র
(ক) প্রাক ইসলামী যুগে শহরবাসী এবং মরুবাসী আরবাদর আর্থসামাজিক জীবনযাত্রাঃ
ভূ – প্রকৃতির তারতম্য অনুসারে আরবের অধিবাসীদের দু’শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় । শহরের স্থায়ী বাসিন্দা ও মরুবাসী যাযাবর যারা ‘ বেদুইন’ নামে পরিচিত । এ দুই শ্রেণির আচার জীবনযাত্রার প্রণালী ধ্যান ধারণা, আশা ব্যবহার আকাংখার মধ্যে যথেষ্ট প্রভেদ রয়েছে । অনেক মরুবাসী আরব বেদুইন জীবন ত্যাগ করে শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে । অপরদিকে দারিদ্রের কষাঘাত সহ্য করতে না পেরে কিছু সংখ্যক স্থায়ী বাসিন্দা বাধ্য হয়ে যাযাবর বৃত্তি গ্রহণ করে ।
(ক) শহরবাসীঃ আরবের উর্বর তৃণ-অঞ্চলগুলো স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী বলে অসংখ্য জনপদ গড়ে উঠেছে। কৃষিকাৰ্য, ব্যবসায়-বাণিজ্য প্রভৃতি ছিল স্থায়ী বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার ফলে এরা ছিল মরুবাসী বেদুইনদের তুলনায় অধিকতর রুচিসম্পন্ন ও মার্জিত।
(খ) মরুবাসী যাযাবরঃ আরব অধিবাসীদের অধিকাংশই স্বাধীনচেতা, বেপরোয়া ও দুর্ধর্ষ মরুবাসী বেদুইন। সমাজের ধরাবাঁধা শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে স্থায়ীভাবে শহরে বসবাস করার পরিবর্তে বেদুইনগণ জীবনধারণের জন্য মরুভূমির সর্বত্র ঘুরে বেড়াত। তারা তৃণের সন্ধানে এক পশুচারণ হতে অন্য পশুচারণে গমন করত। তাদের গৃহ হচ্ছে তাবু, আহার্য উটের মাংস, পানীয় উট ও ছাগলের দুগ্ধ, প্রধান জীবিকা লুটতরাজ শহরবাসী ও বেদুইনের মধ্যে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

খ) প্রাক আরবের রাজনৈতিক অবস্থাঃ
ইসলাম পূর্ব যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ এবং হতাশাব্যঞ্জক ছিল। কোনো কেন্দ্রীয় শক্তির নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব না থাকায় আরবে গোত্র প্রাধান্য লাভ করে। তাদের মধ্যে কোনো ঐক্য ছিল না। গোত্রসমূহের মধ্যে সব সময় বিরোধ লেগেই থাকত।
গোত্রীয় শাসনঃ অন্ধকার যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল বিশৃঙ্খলা, স্থিতিহীন ও নৈরাজ্যের অন্ধকারে ঢাকা। উত্তর আরবে বাইজান্টাইনও দক্ষিণ আরবের পারস্য প্রভাবিত কতিপয় ক্ষুদ্র রাজ্য ব্যতীত সমগ্র আরব এলাকা স্বাধীন ছিল। সামান্য সংখ্যক শহরবাসী ছাড়া যাযাবর শ্রেণির গোত্রগুলোর মধ্যে গোত্রপতির শাসন বলবৎ ছিল। গোত্রপতি বা শেখ নির্বাচনে শক্তি, সাহস, আর্থিক স্বচ্ছলতা, অভিজ্ঞতা, বয়োজ্যেষ্ঠতা ও বিচার বুদ্ধি বিবেচনা করা হত। শেখের আনুগত্য ও গোত্রপ্রীতি প্রকট | থাকলেও তারা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি সর্বদা সচেতন ছিলেন। ভিন্ন গোত্রের প্রতি তারা চরম শত্রুভাবাপন্ন ছিল। গোত্রগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি মোটেই ছিল না। কলহ বিবাদ নিরসনে বৈঠকের ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। শেখের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক জীবন ধারার ছোয়া থাকলেও শান্তি ও নিরাপত্তার লেশমাত্র ছিল না।
গোত্র-জন্ম ও গোত্র কলহের বিষবাষ্পে অন্ধাকার যুগে আরব জাতি কলুষিত ছিল। গোত্রের মানসম্মান রক্ষার্থে তারা রক্তপাত করতেও কুণ্ঠাবোধ করত না। তৃণভূমি, পানির ঝর্ণা এবং গৃহপালিত পশু নিয়ে সাধারণত রক্তপাতের সূত্রপাত হত। কখনও কখনও তা এমন বিভীষিকার আকার ধারণ করত যে দিনের পর দিন এ যুদ্ধ চলতে থাকত। আরবিতে একে আরবের দিন বলে অভিহিত করা হত। আরবের মধ্যে খুনের বদলা খুন, অথবা রক্ত বিনিময় প্রথা চালু ছিল। অন্ধকার যুগের অহেতুক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের নজীর আরব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। তন্মেধ্যে বুয়াসের যুদ্ধ, ফিজার যুদ্ধ ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে। উট, ঘোড়দৌড়, পবিত্র মাসের রমাননা, কুৎসা রটনা করে ইত্যাদি ছিল এ সকল যুদ্ধের মূল কারণ। বেদুইনগণ উত্তেজনাপূর্ণ কবিতা পাঠ করে যুদ্ধের ময়দানে রক্ত প্রবাহে মেতে উঠত। এ সকল অন্যায় যুদ্ধে জানমালের বিপুল ক্ষতি সাধিত হত। যুদ্ধপ্রিয় গোত্রগুলোর মধ্যে আউস, খাযরা, কুরাইশ, বানু বকর, বানু তাগলিব, আবস ও জুবিয়ান ছিল প্রধান।
গ) প্রাক আরবের ধর্মীয় অবস্থা
জাহেলিয়া যুগে আরবদের ধর্মীয় অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ও অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। আরবে তখন অধিকাংশ লোকই ছিল জড়বাদী পৌত্তলিক। তাদের ধর্ম ছিল পৌত্তলিকতা এবং বিশ্বাস ছিল আল্লাহর পরিবর্তে অদৃশ্য শক্তির কুহেলিকাপূর্ণ ভয়ভীতিতে। তারা বিভিন্ন জড়বস্তুর উপাসনা করত। চন্দ্র, সূর্য, তারকা এমনকি বৃক্ষ, প্রস্তরখস্ত, কূপ, গুহাকে পবিত্র মনে করে তার পূজা করত। প্রকৃতি পূজা ছাড়াও তারা বিভিন্ন মূর্তির পূজা করত। মূর্তিগুলোর গঠন ও আকৃতি পূজারীদের ইচ্ছানুযায়ী তৈরি করা হতো।
পৌত্তলিক আরবদের প্রত্যেক শহর বা অঞ্চলের নিজস্র দেবীর মধ্যে অন্যতম ছিল আল-লাত, আল-মানাহ এবং আল-উজ্জা। আল-লাত ছিল তায়েফের অধিবাসিদের দেবী, যা চারকোণা এক পাথর। কালো পাথরের তৈরি আল-মানাহ ভাগ্যের দেবী। এ দেবীর মন্দির ছিল মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী কুপায়েদ স্থান। মদিনার আউস ও খাজরাজ গোত্রের লোকেরা এ দেবীর জন্য বলি দিত এবং দেবীকে সম্মান করত। নাখলা নামক স্থানে অবস্থিত মক্কাবাসীদের অতি প্রিয় দেবী আল-উজ্জাকে কুরাইশগণ খুব শ্রদ্ধা করত।
আরবদেশে বিভিন্ন গোত্রের দেবদেবীর পূজার জন্য মন্দির ছিল। এমনকি পবিত্র কাবা গৃহেও ৩৬০ টি দেবদেবীর মূর্তি ছিল। কাবাঘরে রক্ষিত মূর্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মূর্তির বা দেবতার নাম ছিল হোবল। এটি মনুষ্যাকৃতি ছিল- এর পাশে ভাগ্য গণনার জন্য শর রাখা হতো।
ঘ) প্রাক আরবের সাংস্কৃতিক অবস্থা
বর্তমান যুগের ন্যায় প্রাক-ইসলামি যুগে আরব বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা ও সংস্কৃতি না থাকলেও আরবরা সাংস্কৃতিক জীবন হতে একেবারে বিচ্ছিন্ন ছিল না। তাদের ভাষা এত সমৃদ্ধ ছিল যে, আধুনিক ইউরোপের উন্নত ভাষাগুলোর সাথে তুলনা করা যায়।
কবিতার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক চেতনাঃ প্রাক-ইসলামি যুগে লিখন প্রণালির তেমন উন্নতি হয়নি বলে আরবগণ তাদের রচনার বিষয়বস্তুগুলো মুখস্ত করে রাখত। তাঁদের স্মরণ শক্তি ছিল খুব প্রত্র। তারা মুখে কবিতা পাঠ করে শুনাত কবিতার মাধ্যমে তাদের সাহিত্য প্রতিভা প্রকাশ পেত। এ জন্যেই লোক-গাঁথা, জনশ্রুতির উপর নির্ভর করে পরবর্তীকালে আরব জাতির ইতিহাস লিখিত হয়েছে।
আরব সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন আরবি গীতিকাব্য অথবা কাসীদা সমসাময়িক কালের ইতিহাসে অতুলনীয়। ৫২২ হতে ৬২২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রচনার সাবলীল গতি ও যচ্ছ বাক্য বিন্যাসে বৈশিষ্ট্য থাকলেও এর বিষয়বস্তু রুচিসম্মত ছিল না। যুদ্ধের ঘটনা, বংশ গৌরব, বীরত্বপূর্ণ কাহিনী, যুদ্ধের বিবরণ, উটের বিস্ময়কর গুণাবলী ছাড়াও নারী, প্রেম, যৌন সম্পর্কিত বিষয়ের উপর গীতিকাব্য রচনা করা হত। ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন, “কাব্যপ্রীতিই ছিল বেদুঈনদের সাংস্কৃতিক সম্পদ।” প্রাক-ইসলামি কাব্য সাহিত্যের প্রথম পর্যায়ে মিলযুক্ত গদ্যের সন্ধান পাওয়া যায়। কুরআন শরীফে এ ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে। কাব্য চর্চার রীতির মধ্যে উফ্ট চালকের ধ্বনিময় সঙ্গীত (হ্রদা) এবং জটিলতার ছন্দ অন্তর্ভূক্ত ছিল। কিন্তু কাসীদা ছিল একমাত্র উৎকৃষ্ট কাব্যরীতি। বসুস যুদ্ধে তাঘলিব বীর মুহালহিল সর্বপ্রথম দীর্ঘ কবিতা রচনা করেন। জোরালো আবেগময় সাবলীল ভাষা ও মৌলিক চিন্তা ধারায় এটি ছিল পৃষ্ট।
HSC 2021 Islamic History Assignment Answer
উকাজের সাহিত্য মেলাপ্রাক-ইসলামি যুগে আরবদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল তাদের বাগিতা। জিহ্বার অফুরন্ত বাচন শক্তির অধিকারী প্রাচীন আরবের কবিরা মক্কার অদূরে উকাজের বাৎসরিক মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন। উকাজের বাৎসরিক সাহিত্য সম্মেলনে পঠিত সাতটি ঝুলন্ত কবিতাকে সাবা আল মু’আল্লাকাত বলা হয়। হিট্টি উকাজের মেলাকে আরবের Academic francaise বলে আখ্যায়িত করেন। তখনকার যুগের কবিদের মধ্যে যশস্ত্রী ছিলেন উক্ত সাতটি ঝুলন্ত গীতি কাব্যের রচয়িতাগণ। সোনালী হরফে লিপিবন্ধ এ সাতটি কাব্যের রচনা করেন আমর ইবনে কুলসুম, লাবিছ ইবন রাবিয়া, আনতারা ইবন শাদদাদ, ইমরুল কায়েস, তারাফা ইবনে আবদ, হারিস ইবনে হিলজা ও জুহাইর ইবন আবি সালমা। এদের মধ্যে অসাধারণ প্রতিভাশালী ছিলেন ইমরুল কায়েস। তিনি প্রাক-ইসলামি যুগের শ্রেষ্ঠ কবির মর্যাদা লাভ করেন। ইউরোপীয় সমালোচকগণও তার উৎকৃষ্ট শব্দ চয়ন, সাবলীল রচনাশৈলী, চমপ্রদ যচ্ছ লহরীতে মুগ্ধ হয়ে তাকে আরবের শেক্সপীয়র বলে আখ্যায়িত করেন। আরবি ভাষায় এরূপ উন্নতি ও সমৃদ্ধি সাধনে হিট্টি মন্তব্য করেন, “ইসলামের জয় অনেকাংশে একটি ভাষার জয়, আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে একটি ধর্মগ্রন্থের জয়”।
সাহিত্য আসরের আয়োজনঃ তৎকালীন আরবে সাহিত্য চর্চায় আরবদের আগ্রহ ছিল স্বতঃস্ফুর্ত। অনেক সাহিত্যমোদী আরব নিয়মিত সাহিত্য আসরের আয়োজন করতেন। সাহিত্য আসরের উদ্যোক্তাদের মধ্যে তাকিব গোত্রের ইবনে সালাময়ের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রতি সপ্তাহে তিনি একটি সাহিত্য আসরের আয়োজন করতেন। আরবদের সাহিত্য প্রীতির কথার উল্লেখ করে ঐতিহাসিক হিট্টি বলেছেন, “পৃথিবীতে সম্ভবত অন্যকোনো জাতি আরবদের ন্যায় সাহিত্য চর্চায় এতবেশি যতঃস্ফূর্ত আগ্রহ প্রকাশ করেনি এবং কথিত বা লিখিত শব্দ দ্বারা এত আবেগাচ্ছন্ন হয়নি। এ সমস্ত সাহিত্য আসরে কবিতা পাঠ, সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা ও সমালোচনা অনুষ্ঠিত হত।
কবিতার বিষয়বস্তুঃ প্রাক-ইসলামি যুগের সাহিত্যিকগণ তাদের গোত্র ও গোত্রীয় বীরদের বীরত্বপূর্ণ কাহিনী, যুদ্ধের বিবরণ, উটের বিস্ময়কর গুণাবলী, বংশ গৌরব, অতিথি পরায়ণতা, নরনারীদের প্রেম, নারীর সৌন্দর্য, যুদ্ধ-বিগ্রহ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করতেন। তাদের এ সকল কবিতা সুদূর অতীতকালের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি প্রাক ইসলামি আরবদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করে।
ঙ) প্রাক ইসলামী যুগের উৎকৃষ্ট গুণাবলিঃ
‘মরুভূমিতে রাত্রি ভীতিসংকুল ভূত-প্রেত-দৈত্য-দানবের আনাগোনা’- এ সাধারণ বিশ্বাস মরুভূমির বিপদ হতে পথিককে রক্ষা করার জন্য আরবদের মধ্যে অতিথিপরায়ণতা বিকশিত করেছিল। মরুভূমি অনুর্বর ও পর্বতাঞ্চলের আরব সমাজ | গোত্রভিত্তিক ছিল। গোত্র নিরাপত্তা ও বহিরাক্রমণের ভয় তাদেরকে গোত্রপ্রিয় করে তুলেছিল। এ গোত্রপ্রীতি তাদের মধ্যে জন্ম দেয় মনুষ্যত্ব, আত্মসংযম, স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রের শেখের নিকট সকল নাগরিকের অধিকার সমান। এরূপ পরিস্থিতিতে উন্নততর ধর্মে-কর্মে তাদের শিথিলতা পরিলক্ষিত হওয়াই স্বাভাবিক। আরব ভূ-খণ্ডের অনুদার পরিবেশ, খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব, নির্দিষ্ট চলাচলের পথ না থাকায় বৈদেশিক আক্রমণের হাত থেকে আরববাসীরা সব সময় নিরাপদ থেকেছে।
ভৌগোলিক প্রভাবের কারণে শহরবাসী আরব ও মরুবাসী বেদুইনদের মধ্যে আত্মসচেতনাবোধ ও কাব্যিক চেতনার উম্মেষ ঘটে। আরববাসীরা ছিল কাব্যের প্রতি অধিক মাত্রায় অনুরক্ত। গীতিকাব্য রচনা ও সাহিত্যচর্চায় আরবদের অপূর্ব সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। আরব কবিগণ ভৌগোলিক পরিবেশে যে কাব্য রচনা করেন তা সংঘাত, অদম্য সাহসিকতা, বীরত্ব, গোত্রপ্রীতি ও প্রেম সম্পর্কিত।
সবার আগে এসাইনমেন্ট সমাধান পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল “এডুকেশন হেল্পলাইন “