
৬ ফেব্রুয়ারি খুলছে স্কুল-কলেজ ! স্কুলে একাধিক টয়লেট নির্মাণ করাসহ ৯টি জরুরি নির্দেশনা মানতেই হবে
সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার. তবে এক্ষেত্রে আগামী চার ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে. মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে. এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিভাবে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে হবে তা Guideline প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর.
সারসংক্ষেপ জানুন এই ভিডিও তে
আটত্রিশ পৃষ্ঠার বিশাল এই Guideline এ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে. আর এক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থী শিক্ষক stuff এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে. এছাড়া সবাইকে তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে. একসাথে অধিক সংখ্যক মানুষের জমায়েত নিরুউৎসাহিত করা হয়েছে. আর এ কারণে প্রাথমিকভাবে দশম, দ্বাদশ, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে.
এছাড়া মাউশির ওই নির্দেশনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে. প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন জীবাণু মুক্ত করে পরিষ্কার রাখতে বলা হয়েছে. পাশাপাশি প্রতি তিরিশ জন ছাত্রীর জন্য, একটি টয়লেট, এবং ষাট জন ছাত্রের জন্য একটি ট য়লেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে.
এক্ষেত্রে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনে নতুন টয়লেট নির্মাণ করতে বলা হয়েছে. এছাড়া ছাত্রীদের টয়লেটে বিশেষ স্যানিটেশন সরঞ্জাম সহ প্রয়োজনীয় বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে. প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক ভাবে পনেরো দিন এভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে.
Guideline PDF Download করুন
একই সাথে গাইডলাইন অনুযায়ী সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনতে হলে কতটি শিফট প্রয়োজন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে স্কুল গুলোকে বলা হয়েছে. এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় শিক্ষক শিক্ষার্থী সবার বাধ্যতামূলক ভাবে তাপমাত্রা মাপতে হয় আর এজন্য স্কুলগুলোকে থার্মোমিটারের ব্যবস্থা করতে হবে. কারোর তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হলে তার তথ্য সংরক্ষণ করে তাকে স্কুলে আসা নিরুৎসাহিত করতে হবে.
যাদের বয়স বারো বছরের উপর, সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে. মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেলাই করা কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা হয়েছে. তবে ছয় থেকে এগারো বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মাস্ক পড়ার বিষয়টি ঝুঁকির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে. আর পাঁচ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের মাস্ক পড়ার কোনো প্রয়োজন নেই.
মাওসির গাইডলাইনে কাজ বাস্তবায়নের অর্থ স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে বলা হয়েছে. তবে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে যদি যথেষ্ট অর্থ না থাকে তাহলে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিষদকে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে.
আর মাওসির guideline বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে প্রতি পনেরো দিনে কমপক্ষে একবার প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষক পর্যবেক্ষণ করবেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সকল ক্লাস শুরু হতে পারে।