
ব-ফলা, ম-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণসূত্র এবং গদ্য ও কবিতা থেকে বাছাইকৃত ফলাযুক্ত শব্দের উচ্চারণ
Table of Contents
এইচএসসি ২০২২
এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ – ০২
শিরোনামঃ
ব-ফলা, ম-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণসূত্র এবং গদ্য ও কবিতা থেকে বাছাইকৃত ফলাযুক্ত শব্দের উচ্চারণ
এসাইনমেন্ট কভার
ব-ফলা, ম-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণসূত্র এবং গদ্য ও কবিতা থেকে বাছাইকৃত ফলাযুক্ত শব্দের উচ্চারণ
শব্দের যথাযথ উচ্চারণের জন্য নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে উচ্চারণরীতি বলে। ভাষাতত্ত্ববিদ ও ব্যাকরণবিদাণ বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দের যথাযথ সঠিক উচ্চারণের জন্য কতকগুলো নিয়ম বা সূত্র প্রণয়ন করেছেন। এই নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে বলা হয় বাংলা ভাষার উচ্চারণনীতি ।
ব-ফলার উচ্চারণসূত্রঃ
নিচে উদাহরণসহ ব-ফলা উচ্চারণের ৫টি নিয়ম তুলে ধরা হলোঃ
১. পদের আদিতে অবস্থিত ব্যঞ্জনবর্ণে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-ফলার কোনো উচ্চারণ হয় না। যেমন জ্বলন্ত (জলোনতো), স্বাগত (শাগতো) ইত্যাদি।
২. পদের মধ্যে বা শেষে অবস্থিত কোনো বর্ণের সঙ্গে ব-ফলা’ যুক্ত হলে সংযুক্ত বর্ণটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন : আশ্বিন (আশশিন), অশ্ব (অশশো) ইত্যাদি।
৩. ম-ব্যঞ্জনের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন : লম্বা (লমবো), কম্বল (কমবোল) ইত্যাদি।
৪. ব-ব্যঞ্জনের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে।
যেমন : আব্বা (আববা), ডিব্বা (ডিববা) ইত্যাদি।
৫. ব-ফলা অন্য কোনো যুক্ত ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত থাকে । যেমন : সান্ত্বনা (শানতোনা), দ্বন্দ্ব (দনদো) ইত্যাদি |
ম-ফলার উচ্চারণসূত্রঃ
নিম্নে ম-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ তুলে ধরা হলোঃ
১. শব্দের মধ্যে কিংবা শেষে অবস্থিত ‘ম-ফলা’ যুক্ত বর্ণের উচ্চারণ দ্বিত্ব হয় ও কিছুটা নাসিক্য প্রভাবিত হয়। যেমন: পদ্ম (পদদোঁ), ভন্ম (ভশশোঁ) ইত্যাদি।
২. কোনো শব্দের প্রথম বর্ণে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-ফলা অনুচ্চারিত থাকে এবং কিছুটা নাসিক্যরূপে উচ্চারিত হয়। যেমন: শ্মশান (শঁশান), স্মরণ (শঁরোন্) ইত্যাদি।
৩. গ, ঙ, ট, ণ, ন, ম ও ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে ম-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন: যুগ্ম (জুগমো), তন্ময় (তনময়) ইত্যাদি।
৪. শব্দের শেষ ম-ফলা যুক্ত হলে ম-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন : বাগ্মী (বাগমি), যুগ্ম (জুগমো) ইত্যাদি।
৫. কিছু সংস্কৃত শব্দে ম-ফলার উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন কুষ্মাণ্ড (কুশমানডো), সুস্মিতা (শুসমিতা) ইত্যাদি।
য-ফলার উচ্চারণসূত্রঃ
(ক) আদ্যবর্ণে য-ফলা যুক্ত হলে বর্ণটি অ-কারান্ত বা আ-কারান্ত হলে উচ্চারণ ‘অ্যা’ কারান্ত হয়ে যায়। যেমন ব্যথা (ব্যাথা), ন্যায় (ন্যায়) ইত্যাদি।
(খ) পদের মধ্যে কিংবা অন্ত্যে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে য-ফলা সংযুক্ত হলে সাধারণত তার কোনো উচ্চারণ হয় না। যেমন—সন্ধ্যা (শোন্ধা), স্বাস্থ্য (শাসথো), কণ্ঠ্য (কনঠো) ইত্যাদি।
(গ) পদের মধ্যে কিবা অন্ত্যে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে য-ফলা যুক্ত হলে সাধারণত তার উচ্চারণ হয় না। যেমন–সন্ধ্যা (শোন্ধা), স্বাস্থ্য (শাসেথা) ইত্যাদি।
পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসুচির গদ্য ও কবিতা থেকে ব-ফলাযুক্ত, ম-ফলাযুক্ত ও য-ফলাযুক্ত শব্দ বাছাই করে উচ্চারণ নিন্মের হকে দেওয়া হলঃ
মূলশব্দ |
উচ্চারণ |
মূলশব্দ |
উচ্চারণ |
অকৃতজ্ঞ |
অকৃতোগ্ গোঁ |
পক্ষ |
পোক্খো |
আশ্রম |
আস্ স্রোম |
লাবণ্য |
লাবোন্নো |
অধ্যক্ষ |
ওদ্ দোকখো |
ব্যবহার |
ব্যাবোহার |
অনিঃশেষ |
অনিশশেশ |
তত্ত্বাবধান |
তততাবধান |
ইতোঃপূর্বে |
ইতোপপুরবে |
অসীম |
ওশিম্ |
শ্রম |
স্রোম |
প্রত্যক্ষ |
প্রোত্তোক্খো |
স্বাগত |
শাগতো |
রাষ্ট্রপতি |
রাশট্রোপোতি |
আবৃত্তি |
আব্ততি |
কবিতা |
কোবিতা |
দীনবন্ধু |
দিনোবোনধু |
অত্যাবশ্যক |
ওততাবোশশোক |
ঐশ্বর্যবান |
ওইশশোরযোবান |
দায়িত্ব |
দায়িততো |
ভবিষ্যৎ |
ভোবিশশোত |
ব্যতীত |
বেতিতো |
বিজ্ঞপ্তি |
বিগগোঁপতি |
সৃজনশীল |
সৃজোনশিল |
পুনঃপুন |
পুনোপপুনো |
একাডেমি |
অ্যাকাডেমি |
ব্রাক্ষ্মন |
ব্রামহোন |
বৈশাখ |
বোইশাখ্ |